গাজলডোবার “ভোরের আলো”হতে চলেছে আরও আকর্ষণীয়। “ভোরের আলো”কে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন প্রশাসন। প্রবীণ নাগরিকরা যাতে ভোরের আলো’য় ভালো করে ভ্রমণ করতে পারেন তার জন্য গলফ খেলার মাঠের আদলে পাঁচজন চলার মত ছোট গাড়ি এমাসেই ওই এলাকায় চালু হচ্ছে বলে আজ জানালেন গাজলডোবা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস-চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়।
তিনি আরো জানিয়েছেন, যারা প্রবীণ নাগরিক আছেন তাদের পায়ে হেঁটে ঘুরতে সমস্যা হয়, তাই এধরনের একটি গাড়ি এ মাসেই ওই এলাকায় চালু করা হবে। যেখানে একজন চালাবেন এবং ৫ জন বয়স্ক মানুষের বসার মত ব্যবস্থা থাকবে। খুব স্বল্প মূল্যেই এটা শুরু করা হবে। যদি পর্যটকদের মধ্যে এর চাহিদা গড়ে ওঠে তাহলে আরও বেশকিছু এ ধরনের গাড়ি ওই এলাকায় চালানো হবে বলে তিনি জানান।
পাশাপাশি সিডনির হারবার সেতুর আদলে একটি ঝুলন্ত সেতু তৈরি হচ্ছে ওই এলাকায়। আগামী এক বছরের মধ্যে সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাঘাট সহ একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে গাজলডোবা ও ভোরের আলোতে। যারা নৌকাবিহার করছেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে যাতে লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা থাকে তারও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ নিয়ে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শনে যাবেন তিনি বলে আজ জানান রাজগঞ্জের বিধায়ক তথা গাজলডোবা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস-চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়।