রাজগঞ্জ: স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে স্বামী! রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটার সেই ঘটনার কথা পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে অভিযুক্ত যুবক। মঙ্গলবার অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তল্লাশি চালিয়ে পুকুর থেকে যুবতীর ওড়না ও মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দশ মাস আগে সন্ন্যাসীকাটার নাকুগছের বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সি নাসিমা খাতুনের সঙ্গে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার শোভাগঞ্জের যুবক মমিনুল ইসলামের মোহর হয়। কিন্তু রীতি মেনে নববধূকে বাড়িতে নিয়ে যায়নি তার স্বামী। তবে মাঝেমধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করত ওই যুবক। গত ২৩ মার্চ গভীর রাতে বাপেরবাড়ির পাশের পুকুর থেকে ওই যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহের একটা অংশ জলে ও অন্য অংশ ডাঙ্গায় থাকায় মৃত্যু নিয়ে সকলের সন্দেহ হয়। যুবতীর পরিবারের সদস্যরা সন্দেহের আঙুল তোলেন জামাইয়ের দিকে।
যুবতীর পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেয়ে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হলে ৬ দিনের জন্য পুলিশ হেপাজতে দেওয়া হয়। পুলিশ ওই যুবকের মোবাইল ট্র্যাক করে জানতে পারে যে, ঘটনার সময় তার মোবাইলের লোকেশন ছিল শ্বশুরবাড়িতে। অবশেষে পুলিশের লাগাতার জেরায় অভিযুক্ত তার স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করার কথা স্বীকার করে। পাশাপাশি যুবতীর ওড়না ও মোবাইল ফোন ওই পুকুরে ফেলে দেওয়ার কথাও জানায় পুলিশকে। এদিন ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার সুব্রত ঘোষের উপস্থিতিতে পাম্প মেশিনের সাহায্যে জল তোলার পর পুকুর থেকে ওড়না ও মোবাইল উদ্ধার হয়।