ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথেই, দুই বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল দম্পতির। জানা গিয়েছে মৃতদের নাম কৃষ্ণ ওরাওঁ (২৬) ও লীলা ওরাওঁ (২২)। তাদের বাড়ি রামশাই যাদবপুর চাবাগান সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন পানবাড়ি অফিস পাড়ার বাসিন্দা তপন রায় নামে আরেক যুবক। শুক্রবার রাত্রে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের পানবাড়ি কামারঘাট এলাকায়।
ঘটনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা এলাকার বাসিন্দারা। আহতকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করার পর মৃতদের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে মৃত লীলা ওরাওঁ সাত মাসের অন্ত্বঃসত্তা ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে স্বামীর সঙ্গে মোটর সাইকেল চেপে ডাক্তার দেখাতে আসেন ময়নাগুড়িতে। ফেরার সময় পানবাড়ি কামারঘাট এলাকায় উলটো দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা অন্য একটি মোটর সাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় তাঁদের। ঘটনায় গুরুতর আহত হয় তপন রায়। তাকে স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথম উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসে।
যদিও দম্পতির দেহ দীর্ঘক্ষন ঘটনাস্থলেই পরে থাকে। এলাকায় পুলিশ পৌঁছলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর ময়নাগুড়ি থানা থেকে বাড়তি বাহিনী ও র্যাফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা জানান মৃত লীলার গর্ভে ছিল যমজ সন্তান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত কৃষ্ণ ওরাওঁয়ের ভাই সুনীল ওরাওঁ। সুনীল বলেন, ‘এভাবে দুর্ঘটনায় দাদা ও বৌদির মৃত্যু কোনোও ভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।’ পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্থ মোটর সাইকেল দুটি উদ্ধার করেছে। সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্তে পুলিশ।