অনুপম রায়, বেলাকোবা: ভয়বাহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভস্মীভূত হল একটি বাড়ির তিনটি ঘর। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বেলাকোবার প্রধান পাড়া এলাকায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অন্যদিকে ভস্মীভূতর ঘটনায় গোটা পরিবার সর্বহারা। কোথায় রাত কাটাবেন সেই জায়গা টুকুও বাঁচলো না! আগুনে এক নিমেষেই সর্বহারা করেদিল দরিদ্র পরিবারটিকে।
স্থানীয় ও পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পাড়ার বাসিন্দা, "তাজমল মহম্মদ" পেশায় একজন দিন মুজুর। পরিবারের তার দাদা ও স্ত্রী সমেত এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়েই অভাবের সংসার।
আজ সকালে তাজমল মহম্মদ অনান্য দিনের মতো কাজে বেড়িয়েছিলেন। এরপর দুপুরে তার স্ত্রী আখরিমা খাতুন রান্না শেষ করার পর, বাড়ির পাশে এক জমিতে গরু বানতে গিয়ে ছিলেন। সেই সময় ঘরে তার ছেলে ঘুমাচ্ছিল এবং তার মেয়ে পাশের বাড়িতে গিয়েছিল। এরপরই তিনি জমি থেকে আচমকাই বাড়ির দিকে লক্ষ্য করতেই দেখেন ঘরে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। কোনো ক্রমে দৌড়ে গিয়ে ঘুমন্ত ছেলেকে উঠিয়ে বাচাঁন তিনি। বাদবাকি জিনিস বের করতে না করতেই গোটা বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এবং চোখের নিমেষে সব শেষ। পড়ে থাকল শুধু কাঠ আর কয়লা। বাড়ির টিভি, জামাকাপড়, বইখাতা সব আগুনে গ্রাস করে নিয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে, জলপাইগুড়ি থেকে পৌছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন এবং বেলাকোবা ফাড়ির পুলিশ। বর্তমানে সর্বহারা পরিবার এখন চরম দুর্দশায়। বাড়ির গৃহ কর্তা তাজমল মহম্মদ জানান, গত কিছু দিন আগে ছেলের স্কুলের থেকে পাওয়া মোবাইল ফোনের দশ হাছার টাকা এবং দিন মুজুরির জমানো হাজার কয়েক টাকা ছিল। সেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই অবস্থায় বাড়ির গৃহকর্ত্রী আখরিমা খাতুন সরকারি সাহায্যে প্রার্থনা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে তজমুল মহম্মদের বাড়িতে পৌছায় রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুপালি দে সরকার। এদিন তিনি ব্যাক্তিগত ভাবে দুটি ত্রিপল এবং আর্থিক কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন। পাশাপাশি প্রশাসনের দিক থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণের আশ্বাসও দিয়েছেন।