এক দালালকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে ‘আইপিএস (IPS Officer)’ হয়েছিলেন বিহারের তরুণ। জানা গিয়েছে সেই যুবকের পড়াশোনা ক্লাস টেন পর্যন্ত। ২ লক্ষ টাকার পরিবর্তে দালালের পক্ষ থেকে মিলেছিল পুলিশের ইউনিফর্ম, খেলনা বন্দুকও! কিন্তু বেশি দিন সবার চোখে ধুলো দেওয়া আর গেল না। অবশেষে পুলিশের হাতেই গ্রেফতার হলেন বিহারের তরুণ।
সামাজিক মাধ্যমে সম্প্রতি ওই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি খবর বঙ্গ)। সেই ভিডিয়ো দেখে প্রথমে মনে হবে, এক প্রকার 'জামাই আদর' করেই নিয়ে আসেন থানায় যেন তাঁকে তাঁর নতুন পদ বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারপর দেখা যাচ্ছে, এক দল পুলিশ এক তরুণকে জেরা করছে। তরুণের পরনে পুলিশের ইউনিফর্ম। শেষমেশ জেরার মুখে পুলিশের হাতে একটি খেলনা বন্দুক তুলে দিচ্ছেন তিনি! আর সেই ভিডিও ঘিরেই তুমুল সমালোচনার পাশাপাশি ব্যাপারটা যেনো হাসি মনোরঞ্জনের মতোই।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণের নাম মিথিলেশ মাঝি। সদ্য আঠারোয় পা দিয়েছেন তিনি। মিথিলেশ লখিসরাইয়ের গোবর্ধন বিঘা গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার সিকান্দ্রা বাজারে ইউনিফর্ম পরে ঘুরে বেড়ানোর সময়েই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিজেকে শিক্ষানবিশ আইপিএস অফিসার বলে দাবি করছিলেন ওই তরুণ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন মিথিলেশ। ধরা পড়ার পরে অবশ্য ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন ওই তরুণ। তিনি জানিয়েছেন, এক দালালকে ২ লক্ষ ৩০ হাজার দিয়ে ‘আইপিএস’ হয়েছিলেন তিনি। জামুইয়ের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সতীশ কুমার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘ওই তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরায় জানা গিয়েছে, জনৈক মনোজ সিংহকে চাকরি পাওয়ার জন্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।’’